মাদ্রাসা সুপারের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ
- আপলোড সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০১:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০১:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন

মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলার নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপার জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে শনিবার (২৪ মে) থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস বর্জন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে তারা।
ইউএনওর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে দেড় বছর আগে যোগদান করেন জয়নাল আবেদীন। যোগদানের পর থেকে তিনি প্রায়ই মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকেন। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির ১৯জন দাখিল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে গণিত পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০টাকা করে উৎকোচ নেন তিনি। কয়েকজন দাখিল পরীক্ষার্থী জানায়, মাদ্রাসা সুপার হুজুর গণিত পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার কথা বলে আমাদের প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক দাখিল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার আগের দিন ২০০টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। নকলের ওপর নির্ভর হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা গণিত পরীক্ষায় ভালভাবে প্রস্তুতি নেয়নি। এ অবস্থায় পরীক্ষার ফলাফল অনেকেরই খুব খারাপ হবে। দশম, নবম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ওই সুপার মাদ্রাসায় যোগদান করার পর থেকে মাদ্রাসার নিয়মিত না আসায় লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। তিনি টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহ করার মতো অনৈতিক কাজে জড়িত রয়েছেন। তার ব্যবহার ও কথাবার্তাও ভালো নয়। তাই মাদ্রাসা সুপারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না। শনিবার ও রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা সকল ছাত্রছাত্রী ক্লাস বর্জন করে মাদ্রাসা সুপারের অপসারণের দাবিতে আমরা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদ্রাসা সুপারের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও উজ্জ্বল রায় বলেন, ওই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে ২১মে ছাত্র ছাত্রীরা আমার লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে। আমি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদ্রাসা সুপার বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ